প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছেন হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদের) সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক। গত শনিবার সন্ধায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে হাজার হাজার নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও সূধী জনের উপস্থিতিতে ১৯দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর নিকট ফুলের তোড়া দিয়ে আতিকুর রহমান আতিক দলে যোগদান করলেন। এ সময় সুনামগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য (জেপি-আনোয়ার হোসেন মঞ্জু) এডভোকেট আলহাজ্ব বদরুদ্দোজা আহম্মদ সুজা, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক “ডেপুটি মেয়র” মুহাম্মদ আবু নাসের চৌধুরী, ৯ নম্বর সেক্টারাধীন, সুন্দরবন সাব সেক্টরের সেকেন্ড ইন কমান্ড, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এর সাবেক যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযুদ্ধা মো: সামসুল আলম তালুকদার, সাবেক সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো: ইউসুফ চৌধুরী, হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলা থেকে আগত শত শত নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের হাজার হাজার নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মূল অডিটরিয়ামে জায়গা না থাকায় শতশত নেতা কর্মী অডিটরিয়ামের বাহিরে ও রাস্তায় অপেক্ষা করে। অনুষ্ঠান শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদ তাদের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন ও নেতা-কর্মীদের সান্ত্বনা দেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত যোগদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাহবুবুর রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় পার্টির প্রসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জামাল হায়দার, এস এম এম আলম, আহসান হাবীব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, খালেকুজ্জামান চৌধুরী, রফিকুল হক হাফিজ ও ছাত্রনেতা ফয়েজ চৌধুরী প্রমূখ।
প্রধান অতিথি কাজী জাফর আহমেদ উক্ত অনুষ্ঠানের আতিক ও হবিগঞ্জবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন-আমরা ১৯দলের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আতিক ১৯দলীয় জোটে আসায় ১৯দলীয় জোট আরও শক্তিশালী হলো। তিনি আতিককে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেন। কাজী জাফর আহমেদ আরো বলেন-জাতীয় পার্টি দলের মূলনীতি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তি ও ইসলামী মূল্যবোধ। কিন্তু এরশাদ সাহেব জাতীয় পার্টি দলের মূলনীতি বিসর্জন দিয়ে ভুল পথে চলছেন। তিনি নিজে অন্য একটি দলের নেত্রীর বিশেষ দূত হয়ে ভাল থাকবেন আর দেশের জনগণ অশান্তিতে থাকবে, দলের নেতা কর্মীদের অসম্মানিত ও হতাশায় রাখবেন এই অবস্থা জাতীয় পার্টির মূল নীতি বিশ্বাস করে যারা তারা মেনে নিতে পারে না। কারণ, তাদের কাছে ব্যক্তি এরশাদের চেয়ে দলের মূলনীতিই আসল। নীতিহীন রাজনীতি জনগণ কখনও মানে নাই এবং ভবিষ্যতেও মানবেনা।
আতিকুর রহমান আতিক বলেন, এরশাদ সাহেব জাতীয় পার্টির লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের ত্যাগ ও মান সম্মানের কথা না ভেবে এবং একেক সময় একেক ধরণের কথা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করার কারনে এবং এরশাদ জাতীয় পার্টির কিছু শীর্ষ নেতারা দেশ ও জনগণের কথা না ভেবে শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের দালালী করে ক্ষমতার অংশীদার হচ্ছে আর অন্যদিকে সাধারণ নেতাকর্মীরা বঞ্চিত ও হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে। ফলে এরশাদের জাতীয় পার্টি আজ “আওয়ামী জাতীয় পার্টি” হিসাবে রূপান্তর হয়েছে। এরশাদের জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার। এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামীলীগের ‘বি’ টিম হিসাবে কাজ করছে। ঘনঘন বিপরীতমূখী অবস্থান গ্রহনের ফলে এরশাদের জাতীয় পার্টি সম্পর্কে দেশ ও জনগণের মধ্যে এখন এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। ফলে নেতা কর্মীরা জনগণের কাছে হেয়-প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। রাজনীতি হচ্ছে দেশ ও জনগণের কল্যানে। তাই যে দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার, জেনে শুনে সেই দলে অর্থ, শ্রম, মেধা, শরীরে ঘাম ফেলে, রোদ-বৃষ্টি, ঝড় এবং নানা প্রতিকুলতার মোকাবেলা করে আর সময় নষ্ট করতে চাই না। তাই আমি মূল জাতীয় পার্টি তথা কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছি। ইনশাল্লাহ, আগামীতে ১৯দলীয় জোটের সঙ্গে একযোগে আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে আনবো এবং ১৯দলীয় জোট দেশ পরিচালনা করে বাংলাদেশের জনগণের আশা আকংখা পুরন করবে।