নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে প্রস্তাবিত স্থানেই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবিতে রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রস্তাবিত স্থানের বাইরে স্টেডিয়াম নির্মাণের চেষ্টা করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্টেডিয়াম বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে নবীগঞ্জ নতুন বাজার মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ হুশিয়ারী দেন। পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহি দেওয়ান চৌধুরীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও আওয়ামীলীগ নেতা এটিএম সালাম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু দাশ রানা, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু, যুগান্তর প্রতিনিধি মোঃ সরওয়ার শিকদার, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দাল করিম, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ইকবাল আহমেদ বেলাল, যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, যুবনেতা তোফায়েল আহমদ সায়েদ, নিউটন সূত্রধর, আব্দুল কাহার, নূর মিয়া, সামাজিক সংগঠন অগ্রযাত্রা’র সাধারণ সম্পাদক আলী হাছান লিটন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নবীগঞ্জ সদরের চৌশতপুর গ্রামের মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম এর স্থান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু একটি মহল ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অন্যত্র নির্মাণের নীল নকশা করছে। কোন অবস্থাতেই তাদের নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবেনা। প্রস্তাবিত স্টেডিয়াম চৌশতপুরে না হলে নবীগঞ্জবাসী একত্রিত হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুশিয়ার উচ্চারণ করেন বক্তাগণ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়ার মান উন্নয়নের জন্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন নিয়মিত চর্চা ও প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্যে স্টেডিয়াম প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণকল্পে স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মুনিম চৌধুরী বাবু’র নিকট পত্র দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করেন। প্রকল্পে ১ কোটি ২৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়। পত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর্যবেক্ষন ও মন্তব্যে উল্লেখ করা হয় কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানের মাঠকে উপজেলা মাঠ হিসাবে নির্বাচন করা যাবেনা। উপজেলা সদরে কোন মাঠ না থাকলে ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন স্থান মাঠ হিসেবে নির্বাচন করা যায় বলে পত্রে বলা হয়। পত্র প্রাপ্তির পরে তৎকালীন উপজেলা পরিষদ সমন্বয় কমিটির সভায় এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপি তা উপস্থাপন করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহর পরিচালনায় সর্বসম্মতিক্রমে চৌশতপুর মাঠে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তা প্রেরণ করা হয়। এ জন্য তৎকালীন নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহ ও সহকারী কমিশনার ভূমি আনোয়ার হোসেন স্ক্যাচ ম্যাপও তৈরী করেন। এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী চৌশতপুর খেলার মাঠ পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী উপজেলার গজনাইপুর ইউপির সাতাইহাল ফুলতলী মাঠে মিনি স্টেডিয়াম নিমার্ণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার’সহ সুপারিশ প্রেরণ করেন। সম্প্রতি ফুলতলী মাঠ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বরাবরে রেজিস্ট্রারী করা হয়। এ বিষয়টি জানাজানি হলে নবীগঞ্জের ক্রীড়ামোদী লোকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।