স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- সরকারের মন্ত্রী এমপিদের দূর্নীতির চিত্র জনসম্মুখে প্রকাশ পাবে বলেই বিএনপির নেতাকর্মীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপি কোন কর্মসূচী পালন করতে রাজপথে নামলেই পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। কারণ একটাই, আওয়ামীলীগ এ দেশে আবারও বাকশাল কায়েম করতে চায়। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামীলীগ এক নায়কতন্ত্র কায়েম করতে চায়। কিন্তু আওয়ামীলীগ সেই সুযোগ পাবে না। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমেই অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৯নং নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
মেয়র জি কে গউছ আরও বলেন- বিনা অপরাধে আমি ৭৩৯ দিন কারাভোগ করেছি। রাজনীতি ও জনগণের কাছ থেকে দুরে রাখতেই কিবরিয়া হত্যা মামলায় এবং সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনের জনসভায় বোমা হামলা মামলায় আসামী করা হয়েছে। কারাগারে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার খাবারে বালু মিশ্রণ করে দেয়া হত যাতে আমি খেতে না পারি। আমাকে কখনো হবিগঞ্জ, কখনো মৌলভীবাজার, কখনো ঢাকা, কখানো সিলেট কারাগারে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আমি হতাশ হইনি। আমি সব বিচারের ভার মহান আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার উপর যতবারই জুলুম নির্যাতন হয়েছে মহান আল্লাহ আমাকে পুরুস্কৃত করেছেন।
তিনি বলেন- আওয়ামীলীগের এই দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। দেশবাসী এর পরিবর্তন চায়। একটি অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। একটি সুষ্ঠ নির্বাচন হলেই বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে।
নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা লেমন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ হাজী এনামুল হক, এডঃ এস এম আলী আজগর, জেলা যুবদলের সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক মেয়র এফ এম আহমেদ অলি, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ তানভির আহমেদ জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাচ্চু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল এ চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম, সদর থানা যুবদলের সভাপতি শাহ মশিউর রহমান কামাল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান সিতু, যুগ্ম আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন, শেখ মামুন, সদর থানা শ্রমিকদলের সভাপতি কামরুল হাসান কাজল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফিক, জেলা মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা লাভলি সুলতানা, জেলা কৃষকদলের দপ্তর সম্পাদক আবু ছালেক, এডঃ গুলজার খান, মিজানুর রহমান সুমন, মহিবুর রহমান টিপু, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, সাইদুর রহমান কুটি, আবু তাহের, আব্দুল আউয়াল, আহমেদ আলী, সিরাজ উদ্দিন মেম্বার, আব্দুস সামাদ মেম্বার, আব্দুল মতিন, হেলাল মুর্শেদ, শামীম খান, কামাল আহমেদ, সাইফুদ্দিন ইসলাম, সুহানা খাতুন, আকরম আলী, অলিউর রহমান, কামরুল সুমন প্রমুখ।