স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি একটি সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের দল। শুধু বাঙালি নয় আন্তর্জাতিক বিশ্বে কানাডার আদালতও তাদেরকে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই দেশবাসী তাদেরকে বাঘের মতো ভয় পায়। কারণ বাঘ যদি ক্ষুধার্থ হয় তাহলে সে তাঁর নিজের বাচ্চাকেও খেয়ে ফেলে। যেমনিভাবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সারাদেশে জঙ্গিবাদসহ নৈরাজ্য তৈরী করেছে।
গতকাল রাতে টাউন হল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডঃ মোঃ আবু জাহির এমপি এসব কথা বলেন।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান কালো আইন জারীর মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। আর খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বাঁচানোর চেষ্টা চালায়। এতেই প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়াও হত্যার সাথে জড়িত। পরবর্তীতে এরশাদও এই হত্যার বিচার করেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই হত্যার বিচার কাজ শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে সু-সংগঠিত করে চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে পুননির্বাচিত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর বাকী খুনীদের বিচারের আওতায় আনাসহ দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।
এমপি আবু জাহির বলেন, ১৫ই আগস্ট খালেদা জিয়া নিজের জন্মদিন পালন করে জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল। সারাদেশের আপামর জনসাধারণ তাঁর এই কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দেশবাসীর তোপের মুখে এখন আর ১৫ই আগস্ট তারিখে খালেদা জিয়া ভূয়া জন্মদিন পালন করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় সে পাসপোর্টে লিখেছে স্বশিক্ষিত। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এখন সম্পদের হিসাব দিতে না পারায় তাদেরকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনও নোতকর্মীকে দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় নাই।
একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের সাথে নিয়ে দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বোমাবাজী করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল। আর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশের দুর্নীতি নির্মুল করে শান্তির রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এ কারণে জনগণও আওয়ামী লীগকে ভালবেসে বারবার নির্বাচিত করছে।
হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি। এই পরিবর্তনকে ধরে রাখতে হলে পুনরায় নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এডঃ মোঃ আবু জাহিরকে হবিগঞ্জবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে আবারো প্রার্থী হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়।
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এডঃ নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিরুল ইসলামের পরিচালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি মুকুল আচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক এডঃ লুৎফুর রহমান তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, সহ-প্রচার সম্পাদক এডঃ আব্দুল মোছাব্বির বকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহবাজ চৌধুরী, স্বপন লাল বণিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিরাজ মিয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সেবুল আহমেদ, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক যুবায়ের আহমেদ পারভেজ প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, আব্দুল কদ্দুছ, রফিকুল ইসলাম, এম এ আজিজ ইউনুছ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খান, ফরহাদ হোসেন কলি, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মামুন, চৌধুরী মোঃ মাসুদ আলী ফরহাদ, শাহ্ মোঃ আলমগীর সোহাগ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পার্থ সারথি রায়, এডঃ ইকবাল হোসেন ভূইয়া, আতাউর রহমান মঞ্জিল, মীর আলম কাউছার, ফজলে রাব্বী রাসেল, মোবারক হোসেন ফুল মিয়া, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি পারভেজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ জীবন, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি কাজল সরকার, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছাদ চৌধুরী, ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি ভূবন দত্ত, ৬নং ওয়ার্ডের সভাপতি ইয়াহিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক দিনুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি এডঃ ফুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম, ৯নং ওয়ার্ডের দুলাল মিয়া প্রমুখ।
শোকসভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আলোক প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শোকাবহ আগস্ট মাসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এডঃ মোঃ আবু জাহির।
শোকসভা শেষে এক দেশ ও জাতির জানক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে নিহত সকলের আত্মার শান্তি কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মুফতি আলমগীর হোসাইন।