পাবেল খান চৌধুরী ॥ দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান গঠিয়ে মেয়র পদ ফিরে পেয়েছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা ৩য় বারের নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। গতকাল সোমবার মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও খান মোঃ সাইফুর রহমানের বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে মেয়র জি কে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এই আদেশের বিরুদ্ধে গত রবিবার (২২ জানুয়ারী) মেয়র জি কে গউছ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। সোমবার এই রিটের শুনানী শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। শুনানীতে মেয়র জি কে গউছের পক্ষে আইনজীবি ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট স ম রেজাউল করিম।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর ৩য় সম্পূরক চার্জশীটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র জি কে গউছকে আসামী করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশীট আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পন করেন গউছ। আদালত মেয়র জি কে গউছের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে থাকাবস্থায় ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর মেয়র জি কে গউছকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাগার থেকেই হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টানা ৩য় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন জি কে গউছ। ২৭ জানুয়ারী প্যারোলে মুক্তি দিয়ে মেয়র জি কে গউছকে শপথ নেয়া করানো হয়।
২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারী ৭শ ৩৯ দিন কারাভোগের পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মেয়র জি কে গউছ। এদিকে মেয়র জি কে গউছ মেয়র পদ ফিরে পাওয়ায় বিএনপিতে প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা মহান আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে দোয়া মাহফিল এবং বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।