বানিয়াচং উপজেলার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের রামগঞ্জ গ্রামের রমজান আলীর কন্যা সেলিনা আক্তারের সাথে গত ২০০৩ইং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। দৈর্ঘ্য ১২ বছর যাবৎ আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখ, শান্তিতে কাটিয়ে আসছি। এমতাবস্থায় আমাদের সংসার জীবনে আমার স্ত্রীর গর্ভে এবং ঔরষে দুটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বড় ছেলে তোফায়েল আহম্মদ বয়স (১০), ছোট ছেলে মোঃ আদনান ইসলাম মাহিন বয়স (৩) বছর। গত ৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রাত সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে আমার নিজ গ্রাম নিবাসী মৃত আব্দুল মালেক (কমলা মিয়া)’র পুত্র ও এডভোকেট আব্দুল জলিলের ভাতিজা সাইফুর রহমান দুখু সহ বর্ধন মিয়া, মনির মিয়া, কতুব আলীসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন দুর্বৃত্ত অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সিএনজি যোগে আমার বাড়ী হইতে জোর পূর্বক আমার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে, আমি গত ১০/০৯/২০১৫ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি। পরে বিজ্ঞ আদালত মামলা রুজু করে বানিয়াচং থানা ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরে বানিয়াচং থানার পুলিশ অপহরিত সেলিনা আক্তারকে উদ্ধার করে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে প্রেরণ করেন। ভিকটিম সেলিনার জবানবন্দি শেষে তার নিজ জিম্মায় পিত্রালয়ে যাওয়ার পথে উপরেউল্লেখিত আসামীগণ ১। আব্দুল বারিক ২। আব্দুল হেকিম ৩। আব্দুল হামিদ সহ ১০ জন মিলে পুনরায় আমার স্ত্রীকে স্থানীয় আলীগঞ্জ বাজারের নিকট হইতে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সেলিনা আক্তারের পিতা মোঃ রমজান আলী বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় নারী ও শিশু আইনে ৭/৩০ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং-০১, তাং-০২/১০/২০১৫ইং। উল্লেখ্য আমি ৯নং পুকড়া ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। আমার দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এডভোকেট আব্দুল জলিলের ভাতিজা সাইফুর রহমান দুখু মিয়ার ছোট বোন সুমি আক্তারকে সদর উপজেলার এড়ালিয়া গ্রামের ফজর আলীর পুত্র সাহেদ আলীর সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের ৪মাস পর সুমি আক্তারের গর্ভে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহন করলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলোহর শুরু হয়। এদিকে, এলাকায় নানান রকম সমালোচনা শুরু হলে সামাজিক বিচার বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমি উক্ত অসামাজিক ঘটনার জন্য সুমি আক্তার ও তার পরিবারের এহেন ঘটনার জন্য তিরস্কার ও প্রতিবাদ করি। এ নিয়ে সুমির পরিবারের সদস্যরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমার পরিবারের মানসম্মান নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। ওই ষড়যন্ত্রের জের ধরে আমার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে জোর পূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীকে মিথ্যা প্রতিশ্র“তি ও ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন গোপন স্থানে রেখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন স্বীকারোক্তি আদায় করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে হবিগঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনে গত ০৪/১০/২০১৫ইং সেলিনা আক্তারকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এবং সে তার বক্তব্যে বলেছে যে তার নিজ জিম্মায় খালার বাসায় অবস্থান করছে। প্রকৃত পক্ষে ভিকটিম সেলিনা আক্তার নিকট আত্মীয়দের বাসায় কোথাও নেই। আমি এখন এই দুটি অবুঝ শিশু সন্তানদেরকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন চালিয়ে যাচ্ছি। তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে ও আমার এই অসহায় পরিবারের সমস্যা সমাধান করার লক্ষে অপহরনকারীদের কবল হইতে আমার স্ত্রী ভিকটিম সেলিনা আক্তারকে উদ্ধার পূর্বক অপহরনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনসহ সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। গতকাল বিকালে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভিকটিম সেলিনা আক্তারের পিতা মোঃ রমজান আলী, মাতা ময়মনা বেগম, খালা, নানী, চাচা সহ নিকট আত্মীয় স্বজন। আমার বিশ্বাস আমার স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে অপহরনকারীরা বিভিন্ন সমাজ বিরোধী কর্মর্কান্ডে ব্যবহার করতে পারে ও তাকে  প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। প্রতিবাদকারী
মোঃ ইসলাম উদ্দিন স্বাধীন সেলিনা আক্তারের স্বামী
সেলিনা আক্তারের পিতা মোঃ রমজান আলী