আবুল হোসেন সবুজ, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুরে দিঘী নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু’দলের সংঘর্ষে নাহিদা (১৫) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরো ২৫জন। গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়গ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। নিহত নাসিমা ওই গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর মেয়ে। পুলিশ ১১জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে  আব্দুল মালেক ও ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন খানের মধ্যে গত এক বছর ধরে একটি দিঘী নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত দু’মাসে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এ বিরোধের জের ধরে উভয়  পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিবন্ধি নাহিদা আক্তার (১২) দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়। আহত হয় আরো অন্তত ২৫জন। আহতদের মধ্যে মিস্টার মিয়া (২৫), ছালেহা (২৬), দুলাল (২৭), আলফাজ (২৩), ছেনু (১৮), আরিছ খা (৪০), শানু (৪০), এমরান (৩০), লোকমান (২৫)কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা হল জলিল (৪০) আবু মিয়া (৬০), আফিল উদ্দিন (৪০), শাহাজূুল (২০), আলামিন (২৫), ফাইজুল (২৮), মনুমিয়া (২৫), মোশারফ (২৬), নজরুল (৪০), হাফিজুল (২৫), বেলাল (২০)। আব্দুল মালেকের অভিযোগ শুক্রবার রাতে মহিউদ্দিন  মেম্বারের নেতৃত্বে শনিবারে তাদের উপর হামলার উদ্দেশ্যে সভা করে। সভায় ঘোষণা দিয়ে মাথায় লাল শালু বেধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। বাড়ি ঘর ভেঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে তারা। অপর দিকে মহিউদ্দিন খানের ভাই কাসেম জুট মিল সিতাকুন্ড (২এ) চট্রগ্রামে কর্মরত সহকারি আনসার কমান্ডার আলী আকবর খান জানান, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী মাধবপুুর থানার এসআই মমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা মনির হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।