১৮ দলীয় জোটের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের
বিশাল বিক্ষোভ মিছিলপুর্ব সমাবেশে-এমপি আবু জাহির-প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন পরিচালনা
কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারা দেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্যে খুন, সন্ত্রাস, অগ্নি সংযোগ ও নৃশংসতার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে প্রায় ৩০ হাজার জনতার অংশ গ্রহণে হবিগঞ্জ শহরে বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে আবারও শেখ হাসিনার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতা কর্মীরা।
গতকাল জুম্মার নামাজ শেষেই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সমবেত হতে থাকেন। ঘড়ির কাটা ৩টা হওয়ার পর থেকেই সুসজ্জিত নৌকা, রং বেরঙ্গের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে স্থানীয় শিরিষ তলা, ঈদগা ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় ৩টি নির্ধারিত পয়েন্টে  ছুটে আসেন নেতা কর্মীরা।
৩টি স্থান যখন নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে টুই টুম্বুর তখনই শুরু হয় এই ঐতিহাসিক মিছিল। শেখ হাসিনার  সরকার বারবার দরকার, নৌকা-নৌকা এবং বাইয়া দে এবং এমপি আবু জাহিরকে নির্বাচিত করার শ্লোগানে মুখরতির হয়ে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ শুরু করে। এসময় রাস্তার উভয় পাশে হাজার হাজার জনতা দাড়িয়ে মিছিল উপভোগ করেন। অনেকেই আলোচনা করেন এটাই ছিল হবিগঞ্জ শহরে স্মরণকালের বৃহৎ মিছিল। মিছিলে জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতির পাশাপাশি সকল অঙ্গ সংগঠনও সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। হবিগঞ্জের তৃণমুল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ যে সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত সুসংহত মিছিলে তা প্রমাণ হয়েছে।
দেশের রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালে হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলার নেতাকর্মীরা মিছিলে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয়ায় হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা। সাংবিধানিক পন্থায় নির্বাচন হউক তা তারা না মেনে দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও  নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার সময় তারা হরতাল দিয়ে আমাদের আগামী প্রজন্মের জীবনকে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি ঠেলে দিয়েছে। যার কারনে জনগণ এখন সোচ্ছার হয়ে রাজপথে নেমেছে। জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটের অধীনে জঙ্গীবাদী সরকার চায়না। তারা চায় আওয়ামী লীগের অধীনে উন্নয়ন ও কল্যাণকামী সরকার।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন চায় না। তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বড় লোক হতে চায়। এজন্য বিগত নির্বাচনে জাতি তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামীলীগ যেভাবে বুকের রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেভাবেই আগামী দিনে জনগনের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রা করা হবে।
এমপি আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এখন থেকেই প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের পাশাপাশি সকল উপজেলা ইউনিট, হবিগঞ্জ সদর, হবিগঞ্জ পৌরসভা, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা ও লাখাই উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, ওলামা লীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ হবিগঞ্জ শাখার হাজার হাজার নেতাকর্মী স্বতস্ফুর্তভাবে মিছিলে অংশ নেয়। এর মধ্যে লাখাই উপজেলার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। গতকালের মিছিলে নেতৃত্ব দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির ও  সাধারন সম্পাদক হবিগঞ্জ-২ আসনের এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানসহ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকার ও নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে জেলা ১৮
দলীয় জোটের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে-জিকে গউছ-আওয়ামীলীগের ক্ষমতা ধরে
রাখার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না
স্টাফ রিপোর্টার ॥ তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকারের দাবীতে এবং ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মিছিলটি পৌর মাঠ থেকে শুরু করে সারা শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামা, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, কৃষকদল, ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্র শিবির, ইসলামী ছাত্র মজলিশ, জিয়া পরিষদ, তরুণ প্রজন্ম দল ও উলামাদল সহ বিভিন্ন সংগঠনের ২০ হাজারেরও বেশি লোকজন অংশ গ্রহণ করেন। মিছিলের পূর্বে পৌর মাঠে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন-তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকার একটি মিমাংসিত বিষয়। কিন্তু এই আওয়ামলীগ নিজেরদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। তবে আওয়ামলীগের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। মেয়র জি কে গউছ বলেন- বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে সরকার শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ জন্য দেশের যেকোন পরিস্থিতির দায়ভার আওয়ামীলীগকেই নিতে হবে।
জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এডভোকেট খালিকুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ সুজাত মিয়া, এডভোকেট এম এ নুর খান ও এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাষ্টার আব্দুর রহমান, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, জামায়াতের সেক্রেটারী মোঃ মুশাহিদ আলী, খেলাফত মজলিস সেক্রেটারী প্রভাষক আব্দুল করিম, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ মন্নাফ, মীর আব্দুল আউয়াল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এম ইসলাম তরফদার তনু, মোঃ মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এডভোকেট নুরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক হাজী মোঃ এনামুল হক, প্রচার সম্পাদক সরদার মোঃ আইয়ুব আলী পোদ্দার, মোঃ করম আলী, এডভোকেট সালেহ আহমেদ, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার, নুরুজ্জামান মোল্লা, মেয়র মোহাম্মদ আলী, জেলা কৃষকদল সভাপতি মখলিছ উর রহমান তালুকদার, জেলা যুবদল সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, এডভোকেট এস এম আলী আজগর, আলহাজ্ব আব্দুল কাদের চৌধুরী সোহেল, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, মৎসজীবী দলের সভাপতি এডভোকেট মোদ্দত আহমেদ, মাওলানা মামছুল হক সাদী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ম জাকী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট সানাওয়ার রহমান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল রকিব হাক্কানী, মাওলানা আজিজুল কিবরিয়া ফুরকানী, কাউন্সিলর ছাব্বির আহমেদ, মুজিবুর রহমান সেফু, নাজমুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান আগা মিয়া, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী কাসেদ, হাবিবুল্লাহ বাহার, এস এম আলী আজগর, এস এম বজলুর রহমান, সৈয়দ হুমায়ুন কবির, নুরুল আনাম খান টিপু, ফরহাদ হোসেন বকুল, তানভির আহমেদ জুয়েল, গিরেন্দ্র চন্দ্র রায়, জেলা যুবদল সাধারন সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াস, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জাসাস সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী মিন্টু, মৎসজীবী দলের সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট লিপি আক্তার, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম নানু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, শিবির সভাপতি খলিলুর রহমান, ছাত্রমজলিস সভাপতি মাহমুদুল হাসান কিবরিয়া, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, সৈয়দ আজহারুল হক বাকু, জামায়াত নেতা মাওলানা লুৎফুর রহমান, কাজী মহসিন আহমেদ, মাওলানা শেখ আব্বাস আলী, জাহেদুল হক চৌধুরী জাক্কু, মফিজুর রহমান বাচ্চুু, তুহিন খান, কাউন্সিলর মাহবুবুল হক হেলাল, আব্দুল আওয়াল মজনু, সৈয়দা লাভলী সুলতানা, ছাত্রনেতা মহসিন শিকদার, সালাউদ্দিন টিটু, যুবদল নেতা শাহ মশিউর রহমান কামাল, শাহ আলম, শফিকুর রহমান সিতু, মুর্শেদ আলম সাজন, নাসির উদ্দিন আফরোজ প্রমুখ।

বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুনিরা আক্তারের বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। সে ওই গ্রামের সানু মিয়ার মেয়ে। আগামী মঙ্গলবার তার বিয়ের তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সে ধুলিয়াখাল আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তার মা-বাবা জোরপূর্বক বিয়ে দিচ্ছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে প্রেরিত এক অভিযোগে জানা গেছে।

হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে উন্নয়নে
জাপা নেতা আতিকের ১ লাখ টাকা অনুদান
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উন্নয়নে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা জাপা’র সভাপতি আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক ১ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। গতকাল শুক্রবার তার পক্ষ থেকে এ অনুদানের চেক জেলা জাপার সহ-সভাপতি আব্দুল মুক্তাদীর চৌধুরী অকু এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আলমগীর খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ হালীমের হাতে তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হারুনুর রশিদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি এস এম সুরুজ আলী ও দৈনিক খোয়াই পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নজরুল ইসলাম, জেলা জাপা’র সদস্য আশিকুর রহমান বাদল প্রমুখ।
গতকাল রাতে আতিকুর রহমান আতিক মোবাইল ফোনে সাংবাদিক বলেন, আমি হবিগঞ্জ-লাখাই মানুষের কল্যানে কাজ করে যেতে চাই। সুখে-দুঃখে হবিগঞ্জ-লাখাইবাসীর পাশে থাকতে চাই। এ জন্য তিনি সকালের সহযোগিতা কামনা করেন।

আজ পৌর পূজা উদযাপন
পরিষদের পুনর্মিলনী উৎসব
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হবিগঞ্জ পৌর শাখার উদ্যোগে আজ শনিবার শারদীয় পুনর্মিলনী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্থানীয় কালীবাড়িতে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। রাত ৭টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। মূখ্য আলোচক হবিগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী শিবাত্মানন্দজী মহারাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার, পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল আমিন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এডভোকেট অহীন্দ্র দত্ত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নলিনী কান্ত রায় নীরু, কালীবাড়ি পরিচালনা কমিটি সভাপতি এডভোকেট পূণ্যব্রত চৌধুরী বিভু ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন। শারদীয় পুনর্মিলনী উৎসবে সকলের অংশগ্রহণ কামনা করেছেন পৌর পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল সূত্রধর।

এরশাদের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে
নবীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সাবেক রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নবীগঞ্জ উপজেলার কাজির বাজারে জাতীয় যুব সংহতির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বড় ভাকৈর পুর্ব ইউনিয়ন যুব সংহতির আহবায়ক আহমদ রেজা। যুবনেতা ফরহাদ আহমদ ফুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলিফ উদ্দিন মেম্বার, জাপা নেতা অনু মিয়া, এখলাছুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, রবিউল ইসলাম, যুবনেতা মুশাহিদ আলম চৌধুরী, নিয়ামুল করিম অপু, কাশেম আহমদ, আল আমীন, সালাম মিয়া, জুবায়ের আহমদ, মশাহিদ মিয়া, জামশিদ মিয়া, আজাদ মিয়া, শাহিদ মিয়া, জাকারিয়া আহমদ, রেজাউল করিম, জাহাঙ্গীর মিয়া, আবুল হুসেন, আনোয়ার মিয়া, স্বপন আহমদ, আবু সালেহ, আজমল হুসেন, সইবুর রহমান, বাবলু মিয়া, ইনছব উদ্দিন, মবশ্বির মিয়া, সুহেল মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, নুমান আহমদ, মাহিদ মিয়া, আলাউর রহমান, জাহেদ আহমদ, কাউছার আহমদ, শামিম আহমদ, নুমান চৌধুরী প্রমুখ।

নবীগঞ্জের আলোচিত কলংকা বিল
নিয়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের আশংখা
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই এলাকায় অবস্থিত কলংকা বিল নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারী বিধি মোতাবেক বর্তমান খাস ইজাদার কামাল মিয়া আগামীকাল রবিবার উক্ত বিল ফিসিংয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। অপর দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখা করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে ৩ বছরের জন্য উক্ত কলংকা বিল ইজারা পান পাঞ্জারাই গ্রামের আব্দুল সাহেদগং। ৩ বছর বিল ফিসিং করে ইজারা মূল্য আদায় হয়নি দাবী করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ অবস্থায় হাইকোর্টের রিট পিটিশনের অজুহাতে প্রায় দীর্ঘ ২ বছর সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে বিল ভোগ দখল করে রাখেন সাহেদ গংরা। দীর্ঘদিন শুনানী শেষে রিট পিটিশন খারিজ হয়। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক খাস ইজারা দেয়ার উদ্যোগ নিলে পূণঃরায় হাইকোর্টে রিট পিটিশন ৯৯৫৪/২০১২ নং মামলা দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত খাস কালেকশনের উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে স্থগিতাদেশ বর্ধিত করণ সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে না আসায় স্থগিতাদেশের সময় শেষ হলে গত ৭ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনীন্দ্র কিশোর মজুমদার এর সভাপতিত্বে হবিগঞ্জ জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় উক্ত কলংকা বিল খাস কালেকশন দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এদিকে জেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা খাস কালেকশন কমিটির সভায় গত ১৪ নভেম্বর পাঞ্জারাই গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে কামাল মিয়াকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে খাস ইজারা প্রদান করেন। সরকারী বিধি মোতাবেক ইজারা মূল্য আদায় পূর্বক কামাল মিয়াকে দখল সমজিয়ে দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি খাস ইজারাদার কামাল মিয়া বিলে ফিসিং করতে গেলে দখলদার আব্দুল রকিব গংরা বাধা দেন। এতে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং শালিসের উদ্যোগ নেয়া হয়। রবিবার শালিসের নির্ধারিত তারিখ। কিন্তু আব্দুর রকিব পক্ষ সালিশের সময় বর্ধিত করনের চেষ্টা করছেন। এতে ইজারাদার কামাল মিয়া রবিবার কলংকা বিল ফিসিং করতে উদ্যোগ নেন। এনিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

নবীগঞ্জে এক বিকাশকর্মী
৫ দিন ধরে নিখোজ
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে বিকাশ এজেন্টের কর্মচারী গৌতম পাল (২৭) নামের এক কর্মী ৫ দিন ধরে নিখোজ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে তার পিতা নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বৈলাকীপুর গ্রামের হরেন্দ্র পালের পুত্র গৌতম পাল প্রায় ৮ বছর যাবত বাহুবলের মিরপুর বাজারের তাহের ট্রেডার্সের অধীনে ফ্লেক্সিলোড বাজারজাত করনের চাকুরী করে আসছে। বিগত প্রায় ৮ মাস পুর্বে ওই প্রতিষ্টান বিকাশের বাজারজাত করন এজেন্ট নিয়ে আসলে গৌতম বিকাশ বাজারজাত করন কাজ করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার সকালে গৌতম পাল নিজ বাড়ী থেকে এ কাজের জন্য বের হয়ে আর বাড়ী ফিরে আসেনি। সে না আসায় তার বাড়ীর লোকজন সম্ভাব্য অনেক জায়গায় খোজাখুজি করে তাকে না পেয়ে পরদিন বুধবার তার বাবা নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী, ১ শিশুপুত্র, মা ও বৃদ্ধ বাবসহ সবাই চিন্তিত। তার সন্ধান পেলে মোবাইল ০১৭৩৭৫৮৫৯৮৫ ও ০১৭১৮০৫৩৮৪৭ নাম্বারে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

হবিগঞ্জে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিলে নবীগঞ্জ
থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অংশগ্রহন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ অসাংবিধানিক মন্ত্রীসভা বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে গতকাল সকালে হবিগঞ্জে ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিলে নবীগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গ সংগঠনের অংশগ্রহন করে। পরে বিকাল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে নবীগঞ্জে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার মোড়ে এক পথসভায় মিলিত হয়। পৌর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মুশফিকুজ্জামান চৌধুরী নোমান এর সভাপতিত্বে ও পৌর যুবদলের সভাপতি মনর উদ্দিনের পরিচালনায় পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান শেফু, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ফরিদ আহমেদ, শাহজাহান চৌধুরী, খাজা নুর, নবীগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও থানা ছাত্রদলের অন্যতম নেতা মুশাহীদ আলম মুরাদ, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, আব্দুল কদ্দুস, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম সোহেল, শফিকুল ইসলাম জুনেদ, কুতুব উদ্দিন মাখন, খালেদ আহমদ, ফরহাদ আহমেদ, আল-আমিন চৌধুরী, কাজল আহমেদ, জাকারিয়া আহমেদ তারেক, শামীম আহমেদ, হুমায়ুন আহমেদ, ছাত্রদল নেতা ঝুলন আহমেদ, কপিল আহমেদ, জসিম উদ্দিন, তোফায়েল আহমেদ, নুরুল আমিন, মোঃ আমজাদ, শাহীন আহমেদ, শিপন আহমেদ, সজ্জাদ আহমেদ, মাসুদ চৌধুরী, রাসেদ আহমেদ, প্লাবন আহমেদ, প্রকাশ বৈদ্য, সাইফুল আহমেদ, লিটন আহমেদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিহাব আহমেদ, শোভন আহমেদ, জুনেদ, মুরাদ, জুনাইদ মিয়া, সাইদুর রহমান, মোঃ সাজু, কামাল আহমেদ, জুবেল আহমেদ, আশরাফ মিয়া, শাফী, জহির প্রমুখ।

বাহুবলে পত্রিকা বিক্রেতা ঠান্ডা মিয়া
ও তার স্ত্রী-কন্যাকে মারধোর করে
টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে পত্রিকা বিক্রেতা ঠান্ডা মিয়া ও তার স্ত্রী-কন্যাকে মারধোর করে স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদরের বাহুবল গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাহুবল গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় পত্রিকা বিক্রেতা ঠান্ডা মিয়ার বাড়িতে একটি গাছের ডাল কাটা নিয়ে কথা পার্শ্ববর্তী বাড়ির আব্দুর রহমান, তার পুত্র এনাম মিয়া ও কাওসার মিয়ার সাথে কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ঠান্ডা মিয়ার স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৫৫) ও মনোয়ারা খাতুন (৩২) কে মারধোর করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মনোয়ারার কানের স্বর্ণের দোল ও ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে ঠান্ডা মিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকেও মারধোর করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মাধবপুরে বিএনপি বিক্ষোভ
মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্টিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ মাধবপুরে অসাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। স্থানীয় ম্যাক্সি স্ট্যান্ডে পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনির পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সুমন চৌধুরী, পৌর সাংগঠনিক মাসুদ আলী, ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম মামুন, গোলাপ খান, শফিকুর রহমান ফারুক, মীর আব্দুল আলীম বাদল, মাসুকুর রহমান মাসুক, রফু মিয়া, কণা মেম্বার, কৃষক দল সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবু, পৌর যুবদলের সভাপতি হাজী ফিরোজ মিয়া, সাধারন সম্পাদক বাবুল হোসেন, সহসভাপতি সফিকউদ্দিন খান, সেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল বাশার, ফরিদুর রহমান, সৈয়দ মোঃ সোহেল, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোস্তফা কামাল বাবুল, সাধারন সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম প্রমূখ।

চুনারুঘাট বিএনপি সভাপতির
মাতার কুলখানি অনুষ্ঠিত
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ লিয়াকত হাসানের মাতা সৈয়দা শামছুন্নাহারের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা সৈয়দ লিয়াকত হাসানের নিজ বাড়ি নরপতি হাবিলিতে এ উপলক্ষে কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ ফয়সল, সাধারণ সম্পাদক হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর, চুনারুঘাট পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, চুনারুঘাট থানার ওসি অমূল্য কুমার চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব হুসাইন আলী রাজন, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছামাদ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সিরাজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুল হক তালুকদার, শফিউল আলম সাফি, নুরুল আমীন, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ অংশ নেন। উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর সৈয়দ লিয়াকত হাসানের মাতা সৈয়দা শামছুন্নাহার (৭০) বাধ্যর্কজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন।

বানিয়াচংয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের
তিন মাস ব্যাপী রিভিশন কোর্স শুরু
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বানিয়াচং উপজেলা সদরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের তিন মাস ব্যাপী রিভিশন কোর্স শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় এলআর হাইস্কুলে আয়োজিত কোর্সের উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণায়াধীন বিশ্ব ব্যাংকের বাজেট বিষয়ক পরামর্শক ও গ্রামীণ ফোনের সাবেক ডাইরেক্টার মুশতাক আহমেদ সিএ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা ইউ.পি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও বানিয়াচং এডুকেশন নেটওয়ার্ক এর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মমিন, পেট্রোবাংলার সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, শিক্ষক আলহাজ্ব কবির মিয়া, শিক্ষক বাবুল চন্দ্র তালুকদার, শিক্ষক প্রিয়তোষ সরকার প্রমূখ।
প্রকাশ, গত বছরও বানিয়াচং এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বেন) এর উদ্যোগে ও বিশ্ব ব্যাংকের বাজেট বিষয়ক পরামর্শক মুশতাক আহমেদ সিএ এর পৃষ্ঠপোষকতায় কাগাপাশাস্থ জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের তিন মাস ব্যাপী রিভিশন কোর্স নেয়া হয়েছিল। ফলে ইংরেজি ও গণিতে আশাতীত ফলাফল পাওয়া যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বানিয়াচং উপজেলা সদরে এবছর উক্ত কোর্সটি চালু করা হয়েছে।

হবিগঞ্জে বৌদ্ধ বিহারের বর্ধিত সভা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ হবিগঞ্জে বৌদ্ধ বিহারের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৫টায়  শ্রীশ্রী মহাদেব মন্দির ও শ্রীশ্রী শনিদেব মন্দিরের অস্থায়ী কার্যালয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং প্রস্তাবিত বৌদ্ধবিহারের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থেত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দিলীপ কুমার বনিক। বিশেস অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ প্রধীপ্ত খিসা, গবীন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক বরণ চৌধুরী, হবিগঞ্জ সিআইড জোনের সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা। অন্যান্যের মধ্যে সিলেট বৌদ্ধ সমিতির উপদেষ্টা দিবাকর বড়–য়া, সাধারণ সম্পাদক দিলু বড়–য়া, চন্দ্র শেখর বড়–য়া, লিটন বড়–য়া, মাইকেল বড়–য়া, হবিগঞ্জ বৌদ্ধ বিহারের এডহক কমিটির আহবায়ক সাধন বড়–য়া, কোষাধ্যক্ষ হিরন বড়–য়া, সিলেট বৌদ্ধ সমিতির সদস্য প্রনয় বড়–য়া, প্রীতি রঞ্জন আচার্য্য, প্রিয়ব্রত চাকমা, জুনেল চাকমা, প্রদীপ বড়–য়া, স্বপন আচার্য্য, দুলাল বৈদ্য, রনধীর পাল চৌধুরী, শ্রীকান্ত দেব, মামুন মিয়া, সোহেল, কাঞ্চন বড়–য়া, রুমি বড়–য়া, সুধা চাকমা, রিপন বড়–য়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি বৌদ্ধের আলোকে আলোকিত হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বানিয়াচংয়ে প্রকৌশলী তরুন
ব্যানার্জীর বিদায় সংবর্ধনা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বানিয়াচংয়ে এলজিইডি’র বিদায়ী উপজেলা প্রকৌশলী তরুন ব্যানার্জীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারবৃন্দ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান ইমরান মিয়া। অফিসিয়াল ষ্টাফ ও ঠিকাদারদের মধ্যে ছিলেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী যিশু রায়, সোহরাব আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, হিসাব রক্ষক জহিরুল ইসলাম, টাইপিষ্ট আঃ কাদির, ফ্যাসিলিটেটর নাইম ভূঁইয়া, মোশাহিদ মিয়া, নুপুর কুমার দেব, সৌরভ দেব, দেবাল ভট্টাচার্য, ওয়ার্ক এ্যাসিসষ্টেন্ট ফরিদ মিয়া, এমএলএসএস কেশব দেব, ইলেক্টিশিয়ান ইসলাম উদ্দিন, ঠিকাদার মর্তুজা হাসান, শাহজাহান মিয়া, মুর্শেদুজ্জামান লুকু, রুহুল কিবরিয়া বুলবুল, সাহিবুর রহমান প্রমূখ। উল্লেখ্য, প্রকৌশলী তরুণ ব্যানার্জীকে সরকার এলজিইডি’র ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ে বদলী করেছে।

১৮ দলে বিক্ষোভ মিছিলে
জেলা জাসাদের অংশগ্রহণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ গতকাল ১৮ দলের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছে জেলা সাংস্কৃতিকদল জাসাদ। এতে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিকদল জাসাদ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সহ সভাপতি শাহ ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আফজাল সামী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান কাজল, জেলা জাসাদ নেতা হাবিবুর রহমান মিসবাহ, বাহুবল উপজেলা আহ্বায়ক মোঃ এখলাছ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এখলাছ মিয়া তালুকদার, চুনারুঘাট উপজেলা আহ্বায়ক মোঃ সাজল মিয়া, নবীগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক হোসাইন আহমেদ, লাখাই উপজেলা আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান আশিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ, বানিয়াচং উপজেলা আহ্বায়ক আবুল কাশেম, হবিগঞ্জ পৌর জাসাদের সভাপতি আবু নাছের মোঃ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক গাজী লিটন মিয়া, একেএম সেলিম চৌধুরী, মোঃ শের আলী, আব্দুল আউয়াল, মোঃ আফিল উদ্দিন প্রমুখ।

বিএনপি ও জামায়াত জোটের
নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের
মিছিলে কৃষকলীগের অংশগ্রহণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বিএনপি ও জামায়াত জোটের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলে জেলা কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। জেলা কৃষকলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির রেজার নেতৃত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাকির হোসেন সেলিম, এডভোকেট আলাউদ্দিন তালুকদার, এডভোকেট আব্দুল আলীম সর্দার, সঞ্জয় রায়, এডভোকেট সুলতান আহমেদ, আঃ রউফ, বানিয়াচং উপজেলা কৃষকলীগ আহ্বায়ক প্রিয়তোষ রঞ্জন দেব, শেখ ফরিদ আহমেদ, কামাল আহমেদ, মিজানুর রহমান, সামছুল হক ঠাকুর, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি সাহানুর আলম ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিকাশ রায়, আবুল কাশেম, মনিরুল আলম বাছির, মুকিত, আলআমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

চুনারুাটে পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের
আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল। গত ২১ নভেম্বর জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক আমিনুর রশীদ এমরান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামূল হক সেলিম স্বারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি অনুমোদন করা হয়। মোঃ কদ্দুছ আলীকে আহ্বায়ক, মোঃ আব্দুল্লা আল মামুনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, হাজী ফারুক মেহেদী ও মোঃ জাকির হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট চুনারুঘাট পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটি অনুমোদন করা হয়।

১৮ দলের মিছিলে জামায়াত শিবিরের অংশগ্রহণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ মহাজোটের তথাকথিত সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা প্রত্যাখ্যান, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী এবং জামায়াত সহ ১৮ দলীয় শীর্ষ নেতবৃন্দের মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত ১৮ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা ১৮ দলের মিছিলে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মো: আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী মো: মূশাহীদ আলীর নেতৃত্বে শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট হতে জামায়াতের এবং জেলা শিবিরের সভাপতি খলিলুর রহমান ও সেক্রেটারী আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অনন্তপুরস্থ জেলা অফিস প্রাঙ্গন থেকে শিবিরের নেতাকর্মীরা দুটি পৃথক বিশাল মিছিল সহকারে অংশ গ্রহন করে।
জামায়াতের মিছিলটি শহরের শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে পৌর মাঠে গিয়ে ১৮ দলের মিছিলে যোগদান করে। মিছিল শুরু প্রাক্কালে পথসভার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের সেক্রেৃটারী মাও: মুশাহীদ আলী বলেন, গত পাঁচ বছরের সীমাহীন ব্যর্থতা, পাহাড়সম দূর্নীতি, ইসলাম নিধন অভিযান ও নজীরবিহীন অপশাসনের কারণে জনগণের প্রতিশোধ গ্রহনের আতংকে সরকার দিশেহারা হয়ে হয়ে পড়েছে। তারা যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে বিশ্ব বেহায়া, লম্পট সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ এর জাতিয় পার্টি সহ মহাজোটের শরীক দলগুলোকে নিয়ে সর্বদলীয় সরকারের নামে মন্ত্রীসভা পূর্ণগঠন করে তাদের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মো: আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী মুশাহীদ আলী, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান সহ ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

স্থায়ী পে-কমিশনের ঘোষণা রবিবার
এক্সপ্রেস ডেস্ক ॥ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের স্থায়ী পে-কমিশন দেয়ার সিদ্ধান্ত পাকা হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়ে গেছে। আগামী রবিবার এটি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্স অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। এর আগে অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধিদল গত ৩০ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি জানিয়েছিলেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে স্থায়ী পে কমিশনের এই ঘোষণা আসবে। বিভিন্ন ক্যাডার ও বিভাগের বেতন বৈষম্যের বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করতে ‘পে অ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশন’ নামে আলাদা একটি কমিশন হবে বলেও সে সময় জানিয়েছিলেন তিনি। মুহিত সে সময় অ্যাসোসিয়েশন নেতাদের জানান, স্থায়ী পে কমিশনের চেয়ারম্যানই পে অ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশনের প্রধান হবেন। এই কমিশনের মেয়াদ হবে ছয় মাস। এরআগে গত ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা দেন। পরদিন এর গেজেট জারি করে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মহার্ঘ ভাতা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হবে। একটি স্থায়ী পে কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথা ওই সময়ই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সপ্তম পে কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ২০০৯ সালের ১ জুলাই সর্বশেষ সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়। বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লাখ। এর মধ্যে চাকরিতে সক্রিয় আছেন প্রায় ১১ লাখ।

সোমবারের মধ্যে তফসিল
নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে
এক্সপ্রেস ডেস্ক ॥ নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেছেন, আগামী সোমবারের মধ্যে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন হবে। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেরর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।  গতকাল শুক্রবার বিকালে চাঁদপুর শহরের বাগাদি রোডে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার একথা বলেন। তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী রবি বা সোমবারের মধ্যে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেরর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে কমিশন যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। অর্থাৎ কমিশনের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার শপথ নেয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। এরপর ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকে ‘নির্দলীয়’ সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। তারা বলছে, ‘নির্দলীয়’ সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না তারা। ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ৪ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৭ দিনের মধ্যে মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গত ১১ নভেম্বর মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

তফসিল ঘোষণা হলে দেশ
অচল করে দেয়া হবে: ফখরুল
রবিবার জেলা-উপজেলায় ১৮ দলের বিক্ষোভ
এক্সপ্রেস ডেস্ক ॥ নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশ অচল করে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকার ছাড়া তফসিল ঘোষণা করা হলে জনগণ তা মানবে না। তফসিল ঘোষণা হলে প্রয়োজনে বাংলাদেশকে অচল করে দেয়া হবে।’ গতকাল বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার জানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই তারা এক দলীয় সরকার ব্যবস্থা গঠন করেছে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন সংকট নিরসনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং সরকারকে নির্বাচনী প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আমাদের আর কিছুই করার নেই।’ নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী রবিবার দেশের জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে আগামী সোমবারের মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের  তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।

আগামী সপ্তাহে ফের
আসছে ৭২ ঘণ্টা হরতাল
এক্সপ্রেস ডেস্ক ॥ আগামী সপ্তাহে আবার ৭২ ঘণ্টা হরতাল দিতে পারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে সংলাপের আশা প্রায় ছেড়েই দিচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে গতকাল সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ফখরুল প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সরকার উদ্যোগ নিলেই তারা আলোচনায় সাড়া দেবেন। এ অবস্থায় বিএনপি সংলাপের জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। যদি এরমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া না হয় তাহলে সোমবার থেকে লাগাতার ৭২ ঘণ্টা হরতাল দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। দলটির নীতিনির্ধারকরা জানান, সরকারের মনোভাবে এটা স্পষ্ট- সংকট নিরসনে তারা বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসতে আগ্রহী নয়। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে সংকট নিরসনে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু বুধবার সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে, সর্বদলীয় সরকারের ব্যানারে নির্বাচন করতে ক্ষমতাসীনরা বদ্ধপরিকর। সংকট নিরসনে সরকার আন্তরিক নয়। এ অবস্থায় আর সংলাপের দিকে না তাকিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষেই দলটির বেশির ভাগ নীতিনির্ধারক। আসছে সপ্তাহে টানা কয়েক দিনের হরতাল দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের। একটি সূত্র জানায়, আগামী রোববার জেএসসি পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। তাই ওই দিন হরতাল না দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংলাপ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নাটকীয় কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে দু-এক দিনের মধ্যে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক ডেকে এ হরতাল ঘোষণা করা হতে পারে। সোমবার থেকে টানা কয়েক দিন হরতাল দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই রাতে গুলশান কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে উপস্থিত সবাই লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। সরকার একদিকে সংলাপের নাটক করছে অন্যদিকে সর্বদলীয় সরকারের ব্যানারে একতরফা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে বাধ্য করতে রাজপথকেই বেছে নিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। সূত্র জানায়, এদিকে আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঠিক না হলেও একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগে হরতালের মতো কর্মসূচি দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। তফসিল ঘোষণার পর লাগাতার অবরোধ দেয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে তাদের। তাই আগামী সপ্তাহে আবারও কয়েক দিনের হরতাল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন সরকার সংলাপের জন্য আন্তরিক নয়। তবে আমরা চাই একটা সমঝোতার মধ্যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হউক। আর যদি সরকার সংলাপে না আসে আলোচনায় না আসে তাহলে তো আন্দোলনের বিকল্প নেই।