মখলিছ মিয়া ॥ বানিয়াচঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বসতঘর ও দোকান ভম্মিভূত হয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার। আহত হয়েছে ১৫। গুরুতর আহত অবস্থায় ১ জনকে ঢাকা ও অপর ২ জনকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বানিয়াচং সদরের ৩নং দক্ষিন পূর্ব ইউনিয়নের দোয়াখানী গ্রামে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, বেলা ১১টার দিকে দোয়াখানী গ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার রাইছ মিল থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। খবর পেয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। এরই মধ্যে সর্বনাশা আগুনের ভয়াল থাবায় বসতঘর ও দোকান পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতিক্ষতি হয়ে যায়। তাড়াহুড়া করে আগুন নিভাতে গিয়ে শিশুসহ অন্তত হয়েছে ১৫ জন। গুরুতর আহত আবু ছালেক ও আবু মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আবু আনছারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহত রুহেল মিয়া, মকুবল হুসেন, মেহেদি হাসান, জাবিদুর, শাহ আলম, আবু সাঈদ ও বাবুলকে বানিয়াচং সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে আকস্মিক এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় বলে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। অগ্নিকান্ডে আবুল হুসেন মিয়ার রাইছ মিল, ধানের গোদাম ও ১টি টিনের ঘর, আলম হোসেন এর মুদি দোকান, তেলের দোকান, ১টি টিনের ঘর সম্পূর্ন পুড়ে গেছে।
এদিকে এ ঘটনার পরপরই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বি.এম.মশিউর রহমানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ ক্ষতিগস্থ এলাকা ও আহতদের দেখতে বানিয়াচং হাসপাতালে যান। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমদ ও ইউএনও মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম আহতদের চিকিৎসা প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে ডাক্তারদের নির্দেশ প্রদান করেন। ইউএনও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করে তাদের সরকারীভাবে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।