স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছ, জেলা যুবদলের ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিমসহ ৫ নেতাকর্মীকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে আনা হয়। এদিকে তাদের আগমন উপলক্ষে শত শত নেতা-কর্মী কারাগারের গেটের সামনে ভিড় করে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান। আজ সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে হবিগঞ্জ কোর্টে উপস্থিত করা হবে। সদর থানা পুলিশ তাদের দায়েরকৃত মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাবে বলে বিশ^স্থ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে রাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতপাড়াসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জি কে গউছসহ তাদের আটক করে। পর দিন ৩০ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। একটি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গউছ ও রুবেল, কামাল উদ্দিন সেলিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ সেপ্টেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলা তদন্তের জন্য তাদের আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। অপরদিকে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে জানান, পরস্পর যোগসাজশে জি কে গউছ তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির এবং তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন জি কে গউছ। এ ছাড়া রুবেল চৌধুরী ও কামাল উদ্দিন সেলিমকে ২৮ আগস্ট ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। এদিকে গত ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ৭০০ এর মতো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় ২৯ আগস্ট জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন বিএনপি নেতা-কর্মী হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।