স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামীলীগ যেখানে ব্যর্থ বিএনপি সেখানেই সফল। এ জন্যই বিএনপির সভা-সমাবেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। আর আওয়ামীলীগের সমাবেশে মানুষ হয় না, চেয়ার খালি থাকে। শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেখ হাসিনা আবারও ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশালের আদলে একদলীয় শাসন কায়েম করেছেন। ইনশাআল্লাহ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের হাত ধরে আবারও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে। তিনি গত সোমবার রাতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ও লস্করপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি এবং দেশ বিরোধী আওয়ামীলীগের চক্রান্ত প্রতিহত করতে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আওয়ামীলীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠ হয় না, নিরপে হয় না। তাই মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায় না। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ জন্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বিএনপি আন্দোলন করছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠ নির্বাচন হবে না, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে না। তিনি বলেন- তেতৈয়া’র মানুষ প্রমাণ করেছে ভোট চোরদের কিভাবে প্রতিহত করতে হয়। আগামী নির্বাচনে হবিগঞ্জের প্রত্যেকটি সেন্টারে ভোট চোরদের প্রতিহত করা হবে। জনগণের পবিত্র আমানত ভোট যাতে কেউ চুরি করতে না পারে সে জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় দায়িত্ব পালন করবে।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ সরকার বিদ্যুৎ দিতে ব্যর্থ, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ। এই সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ। এই কথাগুলো আমাদেরকে মানুষের নিকট বলতে হবে। মানুষের সুখে-দুখে আমাদেরকে পাশে দাঁড়াতে হবে। ইনশাআল্লাহ, বিজয় আমাদের নিশ্চিত। সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুল ইসলাম মতিন, আজম উদ্দিন ও এডভোকেট আফজাল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গুলজার খান, নজরুল ইমলাম কাওছার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট মইনুল হাসান দুলাল, ফরিদ মিয়া, সামিউল বাছিত মেম্বার, এস এম মানিক, এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, মশিউর রহমান কামাল, কাজী শামছু মিয়া, শিপন আহমেদ আছকির, শাহিন জাহান, জয়নাল আবেদিন জালাল, মোতাব্বির হোসেন সোহেল, হাফিজ খান, আবদাল মিয়া, নুর ইসলাম, ইসাক মিয়া, ওয়াহিদ মিয়া, এমরান মিয়া, শাহ আলম, মাসুক ভান্ডারী, জাহির মিয়া, সোহেল মিয়া, গওর আলী, আব্দুল কাদির, মাসুক মিয়া, হারুন মিয়া, মহসিন মিয়া, আব্দুল হান্নান জুয়েল, বশির মিয়া, আব্দুল মালেক, নুরুল আমিন, আমিনুল হক, শেখ সাজিদ মিয়া, আব্দুল হামিদ, শের আলী, দুদু মিয়া, শাহেদ আহমেদ রিপন, কামরুল ইসলাম, সেলিম মিয়া, নজরুল ইসলাম, মকসুদ মিয়া, নুরুল আলম সেলিম, মুয়াজ মিয়া, এরশাদ মিয়া, আফরোজ মিয়া, ফজলু মিয়া, ইমান আলী, শামছুদ্দিন, মতিন মিয়া, কামরুজ্জামান, কাইয়ুম মাষ্টার, আরজত আলী, গিয়াস উদ্দিন, দুলাল মিয়া, মানিক মিয়া, রফিক মিয়া, দিদার মিয়া প্রমুখ।