ছনি চৌধুরী, নবীগঞ্জ থেকে ॥ কর্মক্ষেত্রে সাধারণ চাকরিজীবীদের ছুটি থাকলেও কৃষকদের কোনো ছুটি নেই। বছরজুড়ে কৃষিকাজ লেগেই থাকে। আমন ধান কাটার পরে শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন কৃষি জমি আবাদ। শাক-সবজি, গম, ভুট্টাসহ নানা ধরনের চাষাবাদ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় বোরো ধান রোপণের সময়। দেশজুড়ে বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ভোরের আলো ফুটতেই তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরো জমি তৈরী ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর এ কাজে পরিবারের সদস্যরাও চাষিদের পুরোদমে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় রোপা আমন তোলা শেষে বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় বোরোধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৮০ হেক্টর। কয়েকটি হাওড় ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াশা”ছন্ন ভোরে কৃষকরা আবাদের সরঞ্জাম নিয়ে হাওড়ে যা”েছন। কেউ বীজতলা তৈরি করছেন, কোথাও কোথাও পুরোদমে চলছে রোপনের কাজ। পুরুষের সঙ্গে নারী ও শিশুরা কাজে যোগ দেওয়ায় নেই শ্রমিক সংকটও।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নবীগঞ্জে বোরোধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমি। এসব জমি থেকে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমনের জমিতেও বোরোর চাষ শুরু হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফসল উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আব্দুল মন্নান নামে এক কৃষক জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সফলভাবে রোপা আমন ধান তোলা শেষ হয়েছে। এবার বোরো চাষে গুরুত্ব দিচ্ছি আশা করছি ভালো ফলন হবে এবং আমরা কৃষকরা লাভবান হবো। গফুর মিয়া নামে কৃষক জানান-স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি প্রতিবছর বোরোধান আবাদ করি এরফলে আমি বেশ লাভবানও হই। আশা করছি এ বছর আরও বেশি লাভবান হবো। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল আলম জানান, নবীগঞ্জ উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। সামনের দিনে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, বোরোধান আবাদে কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।