স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ জি কে গউছ বলেছেন, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। কিন্তু সেই দিকে সরকারের নজর নেই। আওয়ামীলীগ তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিএনপিকে দমনে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্ষণ, খুন, ঘুম আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের কেটে খাওয়া মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে। সেই উপলব্দি মধ্যরাতের আওয়ামীলীগ সরকারের নেই। কারণ জনগণের ভোটের প্রয়োজন তাদের নেই। এই সরকার সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণ করেছে। ফলশ্রুতিতে বংলাদেশ আজ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নেই, আইনের শাসন নেই, জনগণের বাক-স্বাধীনতা নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই। দেশের গণতন্ত্র হরণ করে আওয়ামীলীগ একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের জানা নেই এর পরিণাম কত ভয়াবহ। জনগণের কাটগড়ায় আওয়ামীলীগকে একদিন দাঁড়াতেই হবে। ইতিহাস তাদের মা করবে না। জি কে গউছ বলেন- আওয়ামীলীগ প্রশাসনের শক্তিতে বলিয়ান, আর বিএনপি জনগণের শক্তিতে বলিয়ান। জনশক্তির সামনে কোন শক্তিই দাড়াতে পারে না, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগও পারবে না। সীমাহীন দূর্নীতি আর দুঃশাসনের কারণে আওয়ামীলীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়েছে। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই সরকারের এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাড়াতে হবে। গণআন্দোলন ছাড়া কোন স্বৈরশাসকের পতন হয়নি। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত করতে হলে গণআন্দোলনের বিকল্প নেই।
তিনি গতকাল শুক্রবার দুপুরে তেল, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য উধ্বগর্তির প্রতিবাদে জেলা বিএনপির এক বিােভ সমাবেশে এসব কথা বলেন। শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবুল হাশিসের সভাপতিত্বে এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন ও সাবেক আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা রফিক, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক ও এডভোকেট এনামুল হক সেলিম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শামছুল ইসলাম মতিন, এডভোকেট আফজাল হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাচ্চু, মর্তুজা আহমেদ রিপন, মুজিবুর রহমান, কামাল সিকদার, লিটন আহমেদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, এডভোকেট আয়াতুল ইসলাম, এডভোকেট হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কামাল খান, মামুন মিয়া, আকলাছ মিয়া, ইলিয়াছ মিয়া, আনিসুজ্জামান জেবু, সাজিদ মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক চৌধুরী বকুল, মোহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, জয়নাল আবেদিন, মনিরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান সিতু, মহসিন সিকদার, আব্দুল মালেক, টিপু আহমেদ, নজরুল ইসলাম কাওছার, সৈয়দ আজহারুল ইসলাম বাকু, মুকিম চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, সুরাইয়া খানম রাখি, জেলা জাসাসের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক আহমেদ, জেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল এ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম হাফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রকি, গোলাম মাহবুব, নাজমুল হোসেন অনি, পৌর মৎস্যজীবি দলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, আব্দুল কাইয়ুম, শহিদুল আলম চৌধুরী আকিক, আজিজুর রহমান বাবলু, আব্দুল আহাদ আনসারী, শেখ মুখলিছুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান সিতু প্রমুখ।