প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ পুরাতন খোয়াই নদীর পূর্ণাঙ্গ সীমানা চিহ্নিতকরণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুনঃ চালু, সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের দাবিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার। গতকাল ১৯ অক্টোবর (সোমবার) বাপা’র একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, হবিগঞ্জ শহরের জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের সবচেয়ে বড় আধার হচ্ছে পুরাতন খোয়াই নদী। মাছুলিয়া থেকে হরিপুর-নাতিরাবাদ হয়ে মাছ বাজার পর্যন্ত পুরাতন খোয়াই নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৫ কিলোমিটার। বর্ষা মৌসুমে শহরের বৃষ্টির পানি ধারণ ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় পুরাতন খোয়াই নদীর ভূমিকা অপরিসীম। পুরাতন খোয়াই নদী হবিগঞ্জের অন্যতম জলাধার। এই শহরের জন্য তাই পুরাতন খোয়াই নদী পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নদীটিকে অব্যাহতভাবে দখল করার কারণে এর শেষ চিহ্ন মুছে যেতে চলেছে। ২০১৯ সনের সেপ্টেম্বর মাসে ‘মাছুলিয়া থেকে শায়েস্তানগর’ পর্যন্ত উভয় পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
স্মারকলিপিতে ৬টি দাবি হচ্ছেÑপুরাতন খোয়াই নদী থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা, পুর্ণাঙ্গ সীমানা নির্ধারণ, পুরাতন খোয়াই নদীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে দ্রুত খনন করা, মাছুলিয়া থেকে মাছ বাজার পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ পুরাতন খোয়াই নদী প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে, নদী রক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং খোয়াই নদী সংশ্লিষ্ট গৃহীত প্রকল্প সম্পর্কে আমরা বিশদভাবে জানতে এবং মতামত দিতে চাই।
তোফাজ্জল সোহেল বলেন, দখল-ভরাট ও দূষণে নদীটি ধবংস হবার কারণে হবিগঞ্জে শুধু পরিবেশ বিপর্যয়ই নয়, ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে।
স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল, বাপা সদস্য এডভোকেট বিজন বিহারী দাস, আমিনুল ইসলাম এবং মোঃ আবিদুর রহমান।