স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাড়ির সীমানা নিয়ে পৃথক স্থানে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ প্রায় শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক লোকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একই দিন বিকেল ৩টায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ২০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মোঃ মাসুক আলী জানান, ওই গ্রামের জহুর উদ্দিনের পুত্র বাবর আলীর সাথে একই গ্রামের মরম আলীর পুত্র কুদ্দুছ মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরধরে সাড়ে ৩টার দিকে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে, কুদ্দুছ আলী, বাবর আলী, তোফাজ্জুল হোসেন, আলী হোসেন, ছাবর আলী, আব্দুল খালেক, জায়েদা খাতুন, জলিল মিয়া, হারুন মিয়া, রোজিনা আক্তার, ইয়ার চান বিবি, করিম মিয়া, শাহ আলম, জাহানারা, আবুল মিয়া, ছালেক মিয়া ও সালাম মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুদিয়াখলা গ্রামে বাড়ির সীম-সীমানা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও আশংকাজনক অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, ওই গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র ইসমাইল মিয়ার সাথে একই গ্রামের আতর আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিনের দীর্ঘদিন যাবত বাড়ির সীম-সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরধরে দুপুক্ষের তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে, স্বর্ন্না আক্তার, নুরুন্নাহার, ফজল মিয়া, শাহ জাহান, রাকিব মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, আব্দুর রহিম, রোকেয়া খাতুন, দুলাল মিয়া, মুসলিম উদ্দিন, রুবেল মিয়া, শামীম মিয়া, জলিল মিয়া, কিম্মত আলী, সাইদুর রহমান, ইসলাম মিয়া, সুহেল মিয়া, মমতা বেগমকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।